জাতীয়পরিচয়পত্র (NID) একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি যা বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের পরিচয় বহন করে। বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের NID কার্ডের প্রয়োজন হয়, যেমন ব্যাংক হিসাব খোলা, সিম কার্ড কেনা, সরকারি পরিষেবা গ্রহণ ইত্যাদি। অনেক সময় NID কার্ডে থাকা ছবিটি পুরোনো বা অস্পষ্ট হওয়ায় তা পরিবর্তন করার প্রয়োজন হতে পারে। ২০২৫ সালেও এই প্রক্রিয়াটি নাগরিকদের জন্য সহজগম্য রাখার চেষ্টা করা হবে, তবে কিছু নির্দিষ্ট ধাপ এবং নথিপত্র অনুসরণ করতে হবে। এই প্রবন্ধে আমরা NID কার্ডের ছবি পরিবর্তনের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
কেন ছবি পরিবর্তন করতে চান?
ছবি পরিবর্তনের আবেদন করার আগে, নিজেকে জিজ্ঞেস করুন কেন আপনি এটি পরিবর্তন করতে চান। কয়েকটি সাধারণ কারণ নিচে দেওয়া হলো:
পুরোনো ছবি: NID কার্ড তৈরির সময় নেওয়া ছবিটি অনেক বছর আগের হতে পারে, যা আপনার বর্তমান চেহারার সাথে মেলে না।
অস্পষ্ট বা নিম্নমানের ছবি: অনেক সময় NID কার্ডে থাকা ছবিটি ঝাপসা, অস্পষ্ট বা নিম্নমানের হতে পারে।
চেহারার পরিবর্তন: বয়স বাড়ার সাথে সাথে বা অসুস্থতার কারণে চেহারার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হতে পারে।
ধর্মীয় বা ব্যক্তিগত কারণ: কিছু ক্ষেত্রে ধর্মীয় বা ব্যক্তিগত কারণেও ছবির পরিবর্তন প্রয়োজন হতে পারে, যেমন মাথার আবরণ যুক্ত করা বা বাদ দেওয়া।
আপনার কারণটি বৈধ এবং গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত, কারণ নির্বাচন কমিশন (EC) কর্তৃপক্ষ আপনার আবেদনের কারণ যাচাই করবে।
ছবি পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
NID কার্ডের ছবি পরিবর্তনের জন্য আপনাকে কিছু অত্যাবশ্যকীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। ২০২৫ সালেও এই নিয়মগুলিতে খুব বেশি পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা কম। সাধারণত যে সকল নথিপত্র প্রয়োজন হয়:
আবেদন ফরম-২ (ফরম-৬): এটি NID সংশোধনের জন্য নির্ধারিত ফরম। এটি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যায় অথবা সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে পাওয়া যায়।
পুরাতন জাতীয় পরিচয়পত্র: আপনার বর্তমান NID কার্ডের মূল কপি এবং ফটোকপি।
ছবি পরিবর্তনের কারণের সপক্ষে প্রমাণপত্র: আপনি কেন ছবি পরিবর্তন করতে চাইছেন, তার সপক্ষে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র। যেমন:
শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র (যদি থাকে): এসএসসি/এইচএসসি বা সমমানের সনদ।
পাসপোর্ট (যদি থাকে): পাসপোর্টে থাকা ছবি যদি আপনার বর্তমান চেহারার সাথে বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়।
ড্রাইভিং লাইসেন্স (যদি থাকে):
বিবাহ সনদ (যদি বিয়ের পর চেহারার পরিবর্তন হয়ে থাকে এবং ছবির পরিবর্তন প্রয়োজন হয়)।
চেহারা পরিবর্তনের মেডিকেল রিপোর্ট (যদি অসুস্থতার কারণে চেহারা পরিবর্তিত হয়ে থাকে)।
সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি: তবে এটি সাধারণত সরাসরি গ্রহণ করা হয় না, কারণ ছবি উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসেই তোলা হয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে প্রমাণ হিসেবে নেওয়া যেতে পারে।
নাগরিকত্ব সনদ: স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বা সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর কর্তৃক প্রদত্ত নাগরিকত্ব সনদ।
জম্ম নিবন্ধন সনদ (যদি থাকে)।
পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
অন্যান্য সহায়ক নথি: আপনার আবেদনকে সমর্থন করে এমন অন্য যেকোনো সরকারি নথি।
গুরুত্বপূর্ণ দ্রষ্টব্য: উপরে উল্লিখিত নথিপত্রগুলি সাধারণ নির্দেশিকা। আপনার নির্দিষ্ট পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে অতিরিক্ত নথিপত্রের প্রয়োজন হতে পারে। তাই আবেদন করার পূর্বে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
ছবি পরিবর্তনের ধাপসমূহ (২০২৫ সালের সম্ভাব্য প্রক্রিয়া)
NID কার্ডের ছবি পরিবর্তনের প্রক্রিয়াটি সাধারণত কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়। ২০২৫ সালেও এই প্রক্রিয়াটি একই রকম থাকার সম্ভাবনা বেশি:
ধাপ ১: আবেদন ফরম সংগ্রহ ও পূরণ
প্রথমে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের (EC) ওয়েবসাইট (www.nidw.gov.bd) থেকে আবেদন ফরম-২ (ফরম-৬) ডাউনলোড করুন। আপনি যদি অনলাইনে ফরম পূরণ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ না করেন, তাহলে আপনার নিকটস্থ উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে ফরম সংগ্রহ করতে পারেন।
ফরমটি অত্যন্ত সতর্কতার সাথে পূরণ করুন। ছবি পরিবর্তনের ঘরটি চিহ্নিত করুন এবং পরিবর্তনের কারণ বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করুন।
ধাপ ২: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করা
আবেদনের সাথে জমা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সকল নথিপত্র, যেমন – বর্তমান NID কার্ডের ফটোকপি, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, পাসপোর্ট (যদি থাকে), নাগরিকত্ব সনদ ইত্যাদি প্রস্তুত রাখুন।
সকল নথিপত্রের মূল কপি এবং অন্তত ২-৩ সেট ফটোকপি করে রাখুন। আবেদনের সময় মূল কপি প্রদর্শন করতে হতে পারে।
ধাপ ৩: উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ
পূরণকৃত ফরম এবং সকল প্রয়োজনীয় নথিপত্র সহ আপনার নিকটস্থ উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে (যেখান থেকে আপনার NID ইস্যু হয়েছিল) যান।
সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তার কাছে আপনার আবেদনপত্র জমা দিন। কর্মকর্তা আপনার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করবেন এবং প্রয়োজনে কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
ধাপ ৪: বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ ও নতুন ছবি তোলা
কর্মকর্তা আপনার আবেদন গ্রহণ করার পর আপনাকে বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের কক্ষে পাঠাবেন। সেখানে আপনার আঙুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট), স্বাক্ষর এবং নতুন ছবি তোলা হবে।
ছবি তোলার সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পোশাকে যান এবং হাসিমুখে থাকুন। ছবিটি যেন স্পষ্ট এবং স্বাভাবিক হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। এটিই আপনার নতুন NID কার্ডে ব্যবহৃত হবে।
ধাপ ৫: আবেদন ফি পরিশোধ
NID কার্ডের ছবি পরিবর্তন বা সংশোধনের জন্য একটি নির্দিষ্ট ফি প্রযোজ্য। এই ফি সাধারণত অনলাইন ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং (যেমন রকেট, বিকাশ) অথবা সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করা যায়।
ফি পরিশোধের রসিদ সংগ্রহ করুন এবং আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করুন। ফি এর পরিমাণ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত হয় এবং প্রয়োজনে পরিবর্তিত হতে পারে। ২০২৫ সালে ফি এর পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে।
ধাপ ৬: আবেদন জমা এবং রশিদ সংগ্রহ
সকল কাগজপত্র, পূরণকৃত ফরম এবং ফি পরিশোধের রসিদ সহ আবেদনটি চূড়ান্তভাবে জমা দিন।
আবেদন জমা দেওয়ার পর আপনাকে একটি প্রাপ্তি স্বীকারপত্র বা রশিদ দেওয়া হবে। এটি ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই রশিদে একটি ট্র্যাকিং নম্বর থাকতে পারে, যা দিয়ে আপনি আপনার NID কার্ডের অবস্থা অনলাইনে যাচাই করতে পারবেন।
ধাপ ৭: NID কার্ডের অবস্থা যাচাই ও সংগ্রহ
আবেদন জমা দেওয়ার পর একটি নির্দিষ্ট সময় (সাধারণত ১ থেকে ৩ মাস) অপেক্ষা করতে হতে পারে।
আপনি নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে আপনার প্রাপ্তি স্বীকারপত্রের নম্বর দিয়ে আপনার NID কার্ডের অবস্থা যাচাই করতে পারবেন।
যখন আপনার NID কার্ড প্রস্তুত হয়ে যাবে, তখন সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে আপনার নতুন NID কার্ডটি সংগ্রহ করতে পারবেন। NID কার্ড সংগ্রহ করার সময় প্রাপ্তি স্বীকারপত্র এবং পুরাতন NID কার্ড (যদি থাকে) সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।
অনলাইন প্রক্রিয়ার সম্ভাবনা (২০২৫)
বর্তমানে NID সংক্রান্ত অনেক পরিষেবা অনলাইনে পাওয়া যায়, যেমন NID ডাউনলোড, তথ্য যাচাই ইত্যাদি। ২০২৫ সাল নাগাদ ছবি পরিবর্তনের আবেদন প্রক্রিয়াতেও অনলাইন কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও বায়োমেট্রিক তথ্য (যেমন নতুন ছবি) সংগ্রহের জন্য সশরীরে উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক থাকবে, তবে প্রাথমিক আবেদন এবং নথিপত্র আপলোডের বিষয়টি অনলাইনে করা যেতে পারে।
যদি অনলাইন প্রক্রিয়া চালু হয়, তাহলে ধাপগুলো এমন হতে পারে:
NID পোর্টালে লগইন: নির্বাচন কমিশনের NID পোর্টালে আপনার অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন বা লগইন করুন।
আবেদন ফরম পূরণ: অনলাইনে ছবি পরিবর্তনের আবেদন ফরম পূরণ করুন।
নথিপত্র আপলোড: প্রয়োজনীয় নথিপত্রের স্ক্যান কপি আপলোড করুন।
ফি পরিশোধ: অনলাইন গেটওয়ের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করুন।
অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণ: বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহের জন্য নিকটস্থ উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট বুক করুন।
সশরীরে উপস্থিতি: নির্ধারিত দিনে, প্রয়োজনীয় মূল নথিপত্র সহ নির্বাচন অফিসে উপস্থিত হয়ে নতুন ছবি এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিন।
কার্ড সংগ্রহ: আপনার NID প্রস্তুত হলে অনলাইনে নোটিফিকেশন পাবেন এবং অফিস থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।
তবে, এই অনলাইন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে চালু হতে আরও কিছুটা সময় লাগতে পারে এবং সশরীরে উপস্থিত হয়ে ছবি তোলার বিষয়টি সবসময়ই থাকবে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
সঠিক তথ্য দিন: আবেদন ফরমে এবং মৌখিক প্রশ্নে সর্বদা সঠিক তথ্য দিন। কোনো ভুল তথ্য দিলে আপনার আবেদন বাতিল হতে পারে বা আইনি জটিলতা তৈরি হতে পারে।
আগে থেকে প্রস্তুতি নিন: আবেদন করার আগে প্রয়োজনীয় সকল নথিপত্র সংগ্রহ করে রাখুন। এতে আপনার সময় বাঁচবে এবং হয়রানি কম হবে।
কর্মকর্তাদের সাথে সহযোগিতা করুন: নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে বিনয়ী ও সহযোগিতামূলক আচরণ করুন। তাদের নির্দেশনা অনুসরণ করুন।
রসিদ সংরক্ষণ করুন: আবেদন জমা দেওয়ার পর প্রাপ্তি স্বীকারপত্রটি অত্যন্ত যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করুন। এটি আপনার আবেদনের একমাত্র প্রমাণ।
অনলাইনে স্ট্যাটাস চেক করুন: নিয়মিত আপনার NID কার্ডের স্ট্যাটাস অনলাইনে যাচাই করুন।
পরিষ্কার পোশাকে যান: নতুন ছবি তোলার সময় পরিষ্কার এবং মার্জিত পোশাকে যান। ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হওয়ায় গাঢ় রঙের পোশাক পরলে ছবিটি সুন্দর দেখাবে।
ধৈর্য ধরুন: NID সংশোধনের প্রক্রিয়াটি কিছুটা সময়সাপেক্ষ হতে পারে। তাই ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুন।
ছবি পরিবর্তনের ফি (২০২৫ সালের সম্ভাব্য আপডেট)
বর্তমানে NID কার্ডের তথ্য সংশোধনের জন্য নির্দিষ্ট ফি ধার্য করা আছে। প্রথমবার সংশোধনের জন্য একটি ফি এবং দ্বিতীয় বা পরবর্তী বারের জন্য বর্ধিত ফি নেওয়া হয়। ২০২৫ সালেও এই নিয়মটি বহাল থাকবে এবং ফি এর পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে মুদ্রাস্ফীতির কারণে। সাধারণত, এই ফি কয়েকশো টাকার মধ্যে থাকে। সঠিক এবং আপডেটেড ফি জানতে আবেদন করার পূর্বে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট অথবা সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করা উচিত।
উপসংহার
জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি পরিবর্তন একটি সরল প্রক্রিয়া হলেও, সঠিক ধাপ এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র সম্পর্কে জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরি। ২০২৫ সালেও এই প্রক্রিয়াটি নাগরিকদের জন্য সহজগম্য থাকবে, তবে কিছুটা সময় এবং ধৈর্য প্রয়োজন হতে পারে। আশা করা যায়, এই বিস্তারিত নির্দেশিকা আপনাকে NID কার্ডের ছবি পরিবর্তনের প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে সাহায্য করবে। যেকোনো অনিশ্চয়তার ক্ষেত্রে সর্বদা সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশনের অফিস বা তাদের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করতে দ্বিধা করবেন না।
NID কার্ডের ছবি কি পরিবর্তন করা যায়?
হ্যাঁ, আপনি নির্দিষ্ট কারণ দেখিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) এর ছবি পরিবর্তনের আবেদন করতে পারেন। একবার ছবি তোলা হলেও নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে তা সংশোধনযোগ্য।
২০২৫ সালে NID ছবি পরিবর্তনের জন্য কি কি লাগবে?
নিচের ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন হতে পারে:
✅ পূর্বের NID কপি
✅ ছবি পরিবর্তনের কারণ উল্লেখ করে লিখিত আবেদন
✅ নাগরিক সনদ/জন্মসনদ
✅ পাসপোর্ট/SSC সনদ/ড্রাইভিং লাইসেন্স (পরিচয়ের প্রমাণ)
✅ সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজ ছবি (প্রয়োজনে)
NID ছবির পরিবর্তন অনলাইনে করা যাবে কি?
না, বর্তমানে শুধুমাত্র ছবির পরিবর্তনের জন্য সরাসরি সংশ্লিষ্ট উপজেলা/জেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে হয়। অনলাইনে ছবির আপলোড বা পরিবর্তন সুবিধা নেই।
NID ছবির পরিবর্তন করতে কত টাকা লাগে?
ছবি পরিবর্তনের জন্য সাধারণত নির্ধারিত ফি দিতে হয় যা ২০০–৩৪৫ টাকার মধ্যে হতে পারে। জরুরি ভিত্তিতে করলে অতিরিক্ত চার্জ প্রযোজ্য হতে পারে।
ছবি পরিবর্তনের পর NID কার্ড কবে পাওয়া যায়?
সাধারণত আবেদন ও তথ্য যাচাইয়ের ১৫-৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশোধিত তথ্যসহ স্মার্ট NID ডাউনলোড/সংগ্রহ করা যায়। সময় অফিসভেদে ভিন্ন হতে পারে।