বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তথ্য সংগ্রহ শুরু। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি ২০২৫ | Voter List Update Program

বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তথ্য সংগ্রহ শুরু। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি ২০২৫ | Voter List Update Program

২০ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে শুরু হচ্ছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তথ্য সংগ্রহের কাজ। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (EC) সারা দেশব্যাপী ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি পরিচালনা করেছে। মাঠ পর্যায়ে হালনাগাদ প্রক্রিয়া চলবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এবং এর মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

যাদের জন্ম ০১ জানুয়ারি ২০০৮ অথবা এর পূর্বে তারা এই হালনাগাদে ভোটার হতে পারবে। তাছাড়া বিগত ভোটার তালিকা হালনাগাদে যারা বাদ পরেছে তারা নতুন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে। মৃত ভোটারদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেয়ার জন্য তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তথ্য সংগ্রহ শুরু। ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি ২০২৫ | Voter List Update Program

যারা নতুন ভোটার হতে চান তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রেডি রাখুন, যখন তথ্য সংগ্রহ করবে দখন যাতে কোন সমস্যা না হয়। জেনে নিন নতুন ভোটার হতে কি কি লাগে

ভোটার তথ্য হালনাগাদ

ভোটার তথ্য হালনাগাদের গুরুত্ব

সুষ্ঠু নির্বাচন একটি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মেরুদণ্ড। ভোটার তালিকা হালনাগাদের ফলে নতুন ভোটারদের ভোটার তালিকায় যুক্ত, ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন সহ অপ্রাসঙ্গিক, দ্বৈত ও মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে কর্তন করা হয়। এর ফলে নির্বাচনের স্বচ্ছতা, সুষ্ঠুতা এবং সকল নাগরিকের ভোটাধিকারের নিশ্চিত হয়।

১. সঠিক ও নির্ভুল তথ্য নিশ্চিতকরণ

ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার মাধ্যমে নতুন ভোটারদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং মৃত বা অনুপস্থিত ব্যক্তিদের নাম তালিকা থেকে সরানো হয়। এটি ভোটার তালিকাকে সঠিক ও নির্ভুল রাখতে সহায়তা করে।

এছাড়া, যারা ঠিকানা বা অন্যান্য তথ্য পরিবর্তন করেছেন, তাদের তথ্য আপডেট করা হয়, যাতে নির্বাচনকালে সঠিক ভোটার যাচাই করা যায়। এভাবে, হালনাগাদ তালিকা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে এবং সবার ভোটাধিকার সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ হয়।

২. নতুন ভোটারদের অন্তর্ভুক্তি

প্রতি বছর অনেক নাগরিক ভোটার হওয়ার যোগ্য হন। বাংলাদেশের নাগরিক এবং যাদের বয়স ১৮ কিংবা তার বেশি তারা ভোট প্রদানের অধিকার রাখে। হালনাগাদের মাধ্যমে নতুন নতুন ভোটারদের তালিকাভুক্ত করা হয়।

৩. ভোট জালিয়াতি প্রতিরোধ

পুরনো এবং অপ্রাসঙ্গিক তথ্য থাকার কারণে ভোট জালিয়াতির আশঙ্কা বাড়ে। হালনাগাদ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এর ঝুঁকি হ্রাস পায় এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত হয়।

তালিকা হালনাগাদের মাধ্যমে মৃত বা অনুপস্থিত ব্যক্তিদের নাম বাদ দেওয়া হয়, এবং সঠিক তথ্য আপডেট করা হয়, যা নির্বাচনে অনিয়ম ও জাল ভোট রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ভোটার তালিকা হালনাগাদ পরিপত্র

ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি কবে থেকে শুরু হয়েছে?

ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি ২০২৫ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে এপ্রিল মাস থেকে এবং এটি নির্ধারিত সময় পর্যন্ত চলবে।

কারা এই তথ্য সংগ্রহের জন্য আসবেন?

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তথ্য সংগ্রাহকরা (Enumerator) বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করবেন। তাদের পরিচয়পত্র থাকবে এবং তারা নির্ধারিত পোশাক পরিধান করবেন।

এই হালনাগাদ কর্মসূচির আওতায় কোন তথ্য নেওয়া হবে?

নতুন ভোটার নিবন্ধন, মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া, এবং তথ্য সংশোধনের জন্য নাম, জন্মতারিখ, ঠিকানা, ও ছবি সংগ্রহ করা হবে।

ভোটার তথ্য দেওয়ার সময় কী কী ডকুমেন্ট লাগবে?

✅ জন্ম সনদ বা জাতীয় পরিচয়পত্র (যদি থাকে)
✅ পিতামাতা বা অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র
✅ শিক্ষাগত সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
✅ ঠিকানা প্রমাণপত্র (যদি চাওয়া হয়)

তথ্য দিলে নতুন ভোটার কার্ড কবে পাওয়া যাবে?

তথ্য সংগ্রহের পর যাচাই-বাছাই ও যাচাই কার্যক্রম শেষে নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত সময়ে নতুন ভোটার কার্ড বিতরণ করবে। এ নিয়ে এসএমএস বা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে।

About the author

Tech Taosin
Tech Taosin, Blogger tips, SEO, web development, HTML, CSS, JavaScript, blogging tools, digital marketing, website optimization

تعليق واحد

  1. Meraz Alvee
    Meraz Alvee
    এটা ইতিমধ্যে শেষ 🙂🤝

الانضمام إلى المحادثة

Disqus shortname is missing. Consider reporting about this message to the admin of this blog. It seems you are the admin of this blog, add disqus shortname through Theme HTML editor to enable Disqus comments.

الانضمام إلى المحادثة